বিশ্ববিখ্যাত পারস্যের কবি হাফিজ সমরখন্দ ও বুখারার সৌন্দর্যের প্রশংসা করে লিখেছিলেন‘আগার আঁ তুর্কে শীরাজী বদস্ত আ রাদ দিলে মারা/ বখালে হিন্দওয়াশ বখশাম সমরকন্দ ও বোখারা রা।’ কবিতার অর্থ হলো সিরাজ শহরে যে তুর্কি তরুনী আমার হৃদয় ছিনতাই করে চলে গিয়েছে, যদি সে তা ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়, তাহলে আমি তার গালের তিলের বিনিময়ে তাকে দুনিয়ার দুই শ্রেষ্ঠ নগরী বোখারা ও সমরকন্দ পর্যন্তও দিতে রাজি আছি।
এই কবিতার জন্য সমরখন্দের বাদশাহ তৈমুর লং ধরে নিয়ে গিয়েছিলো হাফিজকে। নিজের বুদ্ধিমত্তায় মুক্তি পেয়েছিল হাফিজ। সে এক মজার গল্প। প্রিয়ার কালো তিল যেমন সুন্দর। ইস্তাম্বুল শহরকে যদি প্রিয়তমা কল্পনা করা হয় তবে তার কালো তিল হলো প্রিন্সেস আইল্যান্ড।
মর্মর সাগরের বুকে কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত প্রিন্সেস আইল্যান্ড। তুর্কিস ভাষায় এর নাম আদালার। বাইজেন্টাইন থেকে অটোমান সব সময় তুরস্কের সবচেয়ে ধনী মানুষরা বাস করতো এখানে। সাগরের মাঝে পাহাড়ী দ্বীপের উপর অবস্থিত ভিলা গুলো থেকে নীল সাগরের যে সৌন্দর্য দেখা যায় তা এক কথায় অসাধারন।
ইস্তাম্বুল থেকে ফেরীতে ১ ঘন্টার পথ প্রিন্সেস আইল্যাণ্ড। মর্মর সাগরের পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত চমৎকার এক সংক্ষিপ্ত সমুদ্র যাত্রা। কয়েকটি আইল্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি নাম বুয়ুক আদা। এটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এখানে রয়েছে সমুদ্রের পাশে বসে তাজা মাছের বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার সুযোগ। চাইলে সমুদ্রে নেমে গোসলের সুযোগ। মটরচালিত গাড়িতে করে পুরো দ্বীপে ৩০ মিনিটের মধ্যে এক চক্কর ঘুরে আসা যায়। রয়েছে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। দ্বীপের সবচেয়ে উচু পয়েন্ট থেকে সাগরের পাখিদের খেলা দেখতে ভালই লাগে। একদিনের ভ্রমনের জন্য চমৎকার এক গন্তব্য এটি। সকালের গিয়ে সন্ধ্যায় ইস্তাম্বুলে ফিরতে পারবেন। ফিরবেন চমৎকার এক ভাললাগা নিয়ে। পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান প্রিন্সেস আইল্যাণ্ড । বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন অটোমান ট্যুরিজমের সাথে।